৪০ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ স্মরণী তেজগাও আই/এ
ঢাকা – ১২০৮, বাংলাদেশ
ইমেইল: info@inceptavaccine.com
প্রাথমিক ভ্যাকসিনেশন:
বুস্টারঃ প্রাথমিক ভ্যাকসিনেশনের ১-১.৫ মাস পর
রি-ভ্যাকসিনেশনঃ বুস্টারের পর প্রতি ৬ মাস এবং আক্রান্ত এলাকায় যেমন বাংলাদেশে প্রতি ৪ মাস পর পর।
গরু, মহিষ ও বাছুর: ২ মি.লি. ডিপ গ্লুটিয়াল মাংসপেশীতে
ছাগল ও ভেড়া : ১ মি.লি. গ্লুটিয়াল মাংসপেশীতে
১ম ভ্যাকসিনেশন: ৩-৪ মাস বয়স এবং এর পর থেকে
বুস্টার: প্রাথমিক ভ্যাকসিনেশন-এর ১-১.৫ মাস পর
রি-ভ্যাকসিনেশন: প্রতি ৪-৬ মাস পর পর।
অথবা রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়ান-এর পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার্য।
দেশের সর্বত্র ভেটেরিনারি ফার্মেসীতে পাওয়া যাচ্ছে।
কোন ভ্যাকসিনই ১০০ % রোগ প্রতিরোধ করতে পারে না, যেমন মানুষের পক্স, করোনা ইত্যাদি। ও.আই.ই. এর গাইড লাইন অনুযায়ী ক্ষুরারোগের ভ্যাকসিন যদি ৭৫% পর্যন্ত রোগ প্রতিরোধ করে তাকে একটি স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি ভ্যাকসিন বলা হয়। ফিল্ড ট্রায়াল রিপোর্ট এ দেখা গেছে ক্ষুরাভ্যাক্স ৮০% এর বেশি গরুকে প্রতিরক্ষা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত সারা দেশে ৪০৮,৭৬৫ টি গরুকে ক্ষুরাভ্যাক্স দেয়া হয়েছে এবং ফলাফল অত্যন্ত সন্তোষজনক।
১ম বছরে
প্রাথমিক ভ্যাকসিনেশন : ৩-৪ মাস বয়স এবং এরপর থেকে (৭০ টাকা)।
বুস্টার : প্রাথমিক ভ্যাক্সিনেশন-এর ১ মাস পর (৭০ টাকা)।
রি-ভ্যাকসিনেশন : বুস্টার-এর পর প্রতি ৪ মাস পর পর (৭০ টাকা X৩=২১০ টাকা) ।
মোট খরচ=৩৫০ টাকা ।
২য় বছর থেকে ৩টি ভ্যাকসিনে ২১০ টাকা খরচ হবে।
ষাঁড়ে একবার ক্ষুরারোগ হলে ৫-১৫ কেজি ওজন কমে যেতে পারে। মাংস হিসাবে যার মূল্য ৫০০০ টাকার বেশি হবে।
ক্ষুরারোগে ২০% দুধ উৎপাদন কমলেও ৫ কেজি দুধ দেয় এমন গাভীতে বছরে ক্ষতি
দৈনিক ক্ষতি ৫ কেজি X ০.২=১ কেজি
বছরে ৬ মাস দুধ দেয় এমন গাভীতে ক্ষতি
৬ মাসে ক্ষতি =৬ X৩০X১=১৮০ কেজি
আর্থিক ক্ষতি= ১৮০ X ৫০=৯০০০ টাকা (প্রতি কেজি দুধের দাম ৫০ টাকা হিসাবে ধরা হয়েছে )
তাই খামারী অবশ্যই লাভবান হবেন।
ক্ষুরারোগ গবাদি প্রাণির একটি ভাইরাসজনিত মারাত্মক ছোঁয়াচে রোগ। এ রোগে দুধ উৎপাদন ও ওজন আকস্মিকভাবে কমে যায় এবং কখনোই আগের উৎপাদনে ফিরে যায় না। ক্ষুরারোগের কারণে বাংলাদেশে বছরে ১০০০ কোটি টাকারও বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়।
ক্ষুরারোগের ভাইরাস ও, এ, এশিয়া ১ এই ৩ টি স্ট্রেইন দিয়ে বাংলাদেশে মূলত ক্ষুরারোগ হয়ে থাকে। তবে সারা পৃথিবীতে মোট ৭টি স্ট্রেইন দিয়ে ক্ষুরারোগ হয় , ৭টি স্ট্রেইন ও, এ এবং এশিয়া ১, সি, স্যাট ১,২,৩ নামে পরিচিত।
গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়ার ক্ষুরারোগ হয়ে থাকে।
আক্রান্ত প্রাণির লালা, ক্ষতের রস, মলমূত্র, দুধ,ব্যবহার্য সামগ্রী এবং বাতাসের মাধ্যমে এই রোগের জীবাণু দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
ক্ষুরারোগ একটি প্রাণী থেকে অন্য প্রাণিতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। শীতল, স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় যখন অনেক প্রাণী এক সাথে রাখা হয় তখন এটি খুব সহজেই ছড়ায়।
বাংলাদেশে প্রায় সারা বছরই এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। তবে বর্ষা ও শীতকালে ক্ষুরারোগ বেশি দেখা যায়।
এটি মানুষে ছড়ায় না এবং এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয়।
বয়স্ক ও গাভীর তুলনায় কম বয়সী বাছুর এবং পুরুষ প্রাণিতে ক্ষুরারোগের সংক্রমণ বেশী দেখা যায়।
কোন এলাকায় কোন সেরোটাইপ ভাইরাস দিয়ে ক্ষুরারোগ হয়, তার উপর ভিত্তি করে ও.আই.ই. সারা বিশ্বকে ৭টি পুল-এ ভাগ করেছে, এটিই ক্ষুরারোগের ম্যাপিং। যেমন বাংলাদেশ রয়েছে পুল-২ এ।
যে পুলে যে ভাইরাসের কারণে ক্ষুরারোগ হয়, সেই পুলে ক্ষুরারোগের ভ্যাকসিন ঐ পুলের ভাইরাস দিয়ে তৈরী করে ব্যবহার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে এক পুলের ভ্যাকসিন অন্য পুলে কাজ নাও করতে পারে। তাই পুল ম্যাচিং ভ্যাকসিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ । ইনসেপটার ক্ষুরাভ্যাক্স ভ্যাকসিন পুল-২ এর ভাইরাস থেকে তৈরী। তাই পুল ম্যাচিং নিশ্চিত করা হয়েছে।
সংক্রমিত এবং রোগের সুপ্তিকালে থাকা প্রাণীতে ভ্যাকসিন দেয়া উচিৎ নয়। যে সমস্থ প্রাণী সংক্রমিত এবং সংক্রমিত হওয়ার সন্দেহ রয়েছে তাদের ভ্যাকসিন দেয়া উচিৎ নয়।
ক্লিনিক্যালি অসুস্থ অথবা মারাত্নক শুকনো অথবা ধকলে থাকা অবস্থায় ভ্যাকসিন দিলে রেজাল্ট পাওয়া যাবে না।
না। তবে গর্ভবতী প্রাণির উপর ধকল পড়ে । এই ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার পরে গরুকে এই ভ্যাকসিন দেয়া যাবে। এই ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যালি অসুস্থ অবস্থায় দেয়া যাবে না।
৪০ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ স্মরণী তেজগাও আই/এ
ঢাকা – ১২০৮, বাংলাদেশ
ইমেইল: info@inceptavaccine.com